শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

ভূতুড়ে : জাকির রুবেল

ভূত : স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা বুঝতেছিনা.......... .
পাশেই মোবাইলটা চিৎকার করেই যাচ্ছে  বিকট অাওয়াজে। এরকম রিংটোনতো অামার মোবাইলে ছিলনা।  কয়টা বাজে  জানিনা। ফ্যান চলছে। টিভি চলছে। লাইট জালানো। চোখ কছলাতে কছলাতে মোবাইলটা ধরলাম। একটা নারী কন্ঠ। কেমন অাছেন রুবেল সাহেব? অমাকে রুবেল বলেতো কেও ডাকে না? ফোন কেটে দিয়ে নাম্বারটা চেক করলাম। কি অাশ্চার্য কোন নাম্বারই নাই কল লিস্টে।
ঘড়িতে ঠিক ২:৪৫ মি।

বাথরুমের লাইটটা হঠাৎ জ্বলে উঠলো। কে ওখানে? বাসায়তো অাজ অামি ছাড়া কেও নেই। পাশের রুমের অালোতে মনে হচ্ছে কে যেন হেটে যাচ্ছে। একটা ছায়ামূর্তি। গা টা কেমন ছমছম করে উঠলো। যদিও অামি ভূতে বিশ্বাস করি না। তবুও কলিজাটা মোছড় দিয়ে উঠলো।ধীর পায়ে পাশের রুমে গেলাম। খাটের দিকে তাকিয়েতো অামার চক্ষু ছড়কগাছ। কে যেন এ গরমেও কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে অাছে। যদিও ১০/১৫ দিন অাগেই কম্বলগুলো প্যাকেট করে নিজ হাতে উপরে রাখলাম। সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে কি করবো বুঝতেছিনা।

হঠাৎই কম্বলে জড়িয়ে থাকা মানুষটি জেগে উঠলো। কুৎসিৎ একটা মুখায়বব।লম্বা লম্বা দুটো দাঁত বের করে শান্তভাবে অামার দিকে তাকিয়ে অাছে। এগিয়ে অাসসছে হাত বাড়িয়ে অামার দিকে। হাতে ১২ টি অাঙ্গুল। অামি দিলাম দৌড়। দৌড়াচ্ছি অার দৌড়াচ্ছি। এই বুঝি ধরে ফেললো। পা অার চলছেনা। থেমে গেলাম। গাড়ে কারো শীতল হাতের স্পর্শ পেলাম।ভূতদের হাত নাকি শীতল হয়। ভাবছি এই বুঝি জীবন প্রদীপ নিভে এলো। পেচনে সজোরে অাঘাত করলাম। প্রচন্ড ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলাম। হাতের ছামড়া ছিড়ে গেছে। ঘুম ভেঙে গেল। দিখি হাত থেকে রক্ত ঝরছে। ঘুষিটা মনে হয় দেয়ালে লেগেছে। তাহলে কি এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম?

অাবারও মোবাইলটা ফোন বেজে উঠলো।স্বপ্নের ঘোর তখনো কাটেনি  দেখি Farjana Hosain Farjuর  ফোন। রিসিভ করতে বললো ওর ছোট অাংকেল জনাব( Rafiqul Islam)   ঢাকা থেকে ফিরছেন।অামার বাসায় বাকি রাতটুকু কাটাবেন।খুশি হলাম এটা জেনে।  রাত ৩:০০। কল রিসিভে অাবার অামার বরাবরই অালসেমি। ভাগ্যিস এতরাতে স্বপ্নটা অামায় জাগিয়ে দিল নচেৎ বড় লজ্জায় পড়ে যেতাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন