শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

অগ্রযাত্রার সংবিধান (zaker rubel)

              বিছিমিল্লাহীর রাহমানীর রাহীম

♦নাম : এই সংস্থার নাম হবে " অগ্রযাত্রা"

♦পরিচিতি :অগ্রাযাত্রা,  মেহরুন্নেছার মাঝে একটি সমাজ কল্যাণ ও সেবামুলক অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
মননশীল,  সৃজনশীল ওও সমাজ সেবক মানুষের আশা আকাংখার প্রতীক।
মেহেরুন্নেছা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার পূর্বে ছোট ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত, এক মমতাময়ী মায়েের নাম। এই নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর মেহেরুন্নেছা নামের গোড়ড়াপত্তন।  এটি মধ্যম উন্নত এলাকা।  শিক্ষার হার প্রায় ৮০ %। অনেক জ্ঞানী গুনী লোক মেহেরুন্নেছার সুনাম ছড়িয়েছে দেশে ও বিদেশে।
মেহেরুন্নেছা প্রায় ৭০% প্রবাসী। তারা পৃথিবী বহু দেশে কাজ করে মেহেরুন্নেছা ও দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে। আছে ১০% পেশাজীবী। তারাও এলাকার উন্নয়ন ও দেশ গড়ায় ভুমিকা রাখছে।
১০% আছে শ্রমিক। তারা তাদের কর্ম দিয়ে কোন মতে পরিবার নিয়ে খেয়ে পড়ে ভালোই আছে।
আর ১০ % আছে হতদরিদ্র।  তারা কোন মতে দিন অতিবাহিত করছে।  মানুষের সাহায্য সহায়তায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।  অনেকে তাদের সাহায্য সহায়তা করতেছে ব্যক্তিগতভাবে। এই সাহায্য  তাদের তেমন কাজে আসছে না।  তারা দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাছে না।যার কারননে তাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে না পেরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  একশ্রেনীর সার্থান্বেষী  মহল তাদের অবৈধ ব্যবসা ও ক্ষমতার কাজে এই গবির মানুষ গুলো কে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।  যার ফলে আজ মেহেরুন্নেছায় মারামারি, হানা-হানি লেগেই আছে।  সমাজে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, যেনা ভ্যাবিচার বেড়েই চলছে। এর মূল সমস্যা সুশিক্ষার অভাব,  দারিদ্রতা,  ও ন্যায়বিচার না থাকা।
আর একা কারো পক্ষে এই দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব না,দরকার সম্মমিলিত সাহায্য সহয়তা। এই অসহায় মানুষদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর জন্যই অগ্রযাত্রা নামক এই সংগগঠনের যাত্রা।

♦ধরন : অলাভজনক,অরাজনৈতিক,সমাজ কল্যান মূলক সংস্থা।

♦কর্ম পরিধি : সেবার কোন পরিধি থাকেনা তবুও  প্রাথমিকভাবে মেহেরুন্নেছা এলাকাই হবে এর পরিধি। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়ানো হবে।

♦কার্যালয় :  আপাতত whatsap ই এই সংস্থার কার্যালয় থাকবে।

♦লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
================
"তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, মানবতার কল্যানের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে "- আল কুরআন। প্রবিত্র কুরআনের এই ঘোষনার আলোকেই দুস্ত ও আসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করাই এই সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

♦কর্মসূচী :
=========

১.সমাজ কল্যান
২.ছাত্রকল্যান
৩.সাংস্কৃতি বিষয়ক
৪.ক্রীড়া বিষয়ক
৫.যাকত বিভাগ
৬.
**বিস্তারিত আরো আসতে পারে সবার পরামর্শে।

♦ দরিদ্রদের সহযোগীতার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দলীয় মনেভব পোষন করা হবে। তবে দ্বীনি ভাইদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

♦সদস্য হওয়ার নিয়ম:
================
সংস্থার কার্যকরি পরিষদের অনুমুতিক্রমে যে কেও সমাজকল্যানের মানসিকতা থাকলে এ সংস্থার সদস্য হতে পারবেন। আপাতত মেহেরুন্নেছার বাসিন্দা হতে হবে।

সদস্য বৃদ্ধির জন্য সকল সদস্য সদা সক্রিয় থাকবে।

♦পরিচালনা পদ্ধতি :
===============
১||.একজন সভাপতি, একজন সেক্রেটারী, ১০ সদস্যের একটি কার্যকরী পরিষদ এবং একটি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে এ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে।

২|| সদস্যেদের ভোটে প্রতি এক বছরের জন্য সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হবেন।।

৩|| সভাপতি ও সেক্রেটারি কার্যকরি পরিষদ মনোনীত করবেন।

৪|| এ সংস্থার কিছু বিভাগীয় সেক্রেটারি থাকবে যেমন
            ১.ছাত্র কল্যান বিভাগীয়
             ২. সমাজ কল্যান বিভাগীয়
             ৩. কোষাধ্যক্ষ
            ৪.ক্রিড়া সম্পাদক
            ৫. সাংস্কৃতি সম্পাদক
এসব বিভাগের একজন করে সহকরী ও থাকতে পারে।

♦আয়ের উৎস :::
==============

১.সদস্যদের দান
২.যাকাত
৩.ভিবিন্ন উদ্যোগ উপলক্ষে বিশেষ কালেকশন।

♣ এই সংস্থার নিজস্ব একটি কল্যান ফান্ড থাকবে। যার হিসাব সভাপতি, সেক্রেটারী ও কোষাধ্যক্ষ সাহেব প্রতিমাসের শেষে হিসেব করে সংক্ষিপ্ত আয় ব্যায়ের হিসাব কার্যকরি পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করবেন।
♣কোষাধ্যক্ষ সংস্থার সকল আর্থিক হিসাব নিকাশ সুচারুভাবে দেখাশুনা ও নির্দিষ্ট বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
♣ সকল প্রকার আয় কোষাধ্যক্ষের হিসাবে প্রথমে যোগ হবে।

♦ ব্যায়ের খাত :
===========

সংস্থার সংবিধান নির্ধারিত খাত ও কার্যকরি পরিষদ কর্তৃক অুমোধিত খাতেই কেবল সংস্থার অর্থ ব্যয় হবে।
ব্যায়ের ক্ষেত্রে কার্যকরি পরিষদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গন্য হবে।
১. দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যায়বার বহন
২.আর্থি অসচ্ছল ও দুস্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সাবলম্বি করার চেষ্টা
৩. কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারকে অার্থিক সহযোগীতা
৪.প্রতিবন্ধীদের সহায়তা
৫.অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন মৌসুমে সহায়তা প্রদান ( শীতবস্ত্র, ইফতার, ঈদ উপহার, ইত্যাদি)
৬.বিধবা ও এতিমদের সাধ্যমত সহযোগীতা করার চেষ্টা করা হবে

♣♣ তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগীতার পরিবর্তে বড় ধরনের সহযোগীতা করে দারিদ্র দূরীকরনই প্রধান লক্ষ্য থাকবে)

♥♥♥♥শৃঙ্খলা ♠♠♠
===================
১ : যেহেতু এটি একটি সমাজ কল্যানমূলক অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাই যে কেউ এর সদস্য হতে পারবে কিংবা এর সদস্য পদ হতে অব্যাহতি চাইতে বা নিতে পারবেন।

২. কার্যকরি পরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদ বা ব্যক্তিগতভাবে এই দুই পরিষদের কেও এই সংস্থার আর্থিক কোন কেলেংকারির সাথে জড়িত থাকা প্রমানীত হলে তিনি এই সংস্থার দায়িত্বসহ সদস্য পদও হারবেন।

♦♦♦♦♦♦♦বিশেষ দ্রষ্টব্য ♦♦♦♦♦
এটি একটি সুপরিবর্তনীয় সংবিধান। সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এর যেকোন ধারা বা উপধারা বা যে কোন অংশ পরিবর্তন ও সংশোধন করা যাবে।

♦প্রথম কার্যকরি পরিষদ ২০১৬ _২০১৭

সভাপতি : নুর আলম মামুন
সহ সভাপতি :গোলাম মাওলা
সেক্রেটারি :আবুল কাসেম হেলাল
সহসেক্রেটারী :আমির হোসেন সাইফুল
কোষাধ্যক্ষ :আবদুর রহমান রানা
সহ :আব্দুল করিম
ছাত্রকল্যাণ বিভাগীয় প্রধান : আতিকুর রহমান.
সহ:নেজাম উদ্দিন
সহ : ভাবলু
সহ : সজিব
সমাজকল্যাণ:
সাইফুল ইসলাম ( মৌলভী বাড়ি)
সহ : মাসুদ রানা
সহ : বোরহান.
আই এচ রিয়াদ
সংস্কৃতিক সম্পাদক : মহি উদ্দিন. সহ.আবদুল মান্নান সেলিম.
সহ.আবু নাছের.
ক্রীড়া বিভাগ:
মাহফুজ আলম স্বপন
আল আমিন
সাবিদ খান জামাল

♦প্রথম উপদেষ্টা পরিষদ ২০১৬-২০১৭

১.কাজী হানিফ আনসারী ভাই.
২.মাহবুবুর রহমান জিয়া. ভাই
৩.নাজমুল ভাই ( ডাঃ মোয়াজ্জেম এর বাগীনা.)
৪.আবদুল মজিদ ভাই
৫.শামসুদ্দিন ভাই
৬.মিজানুর রহমান ভাই
৭.মাওলানা ইউসুফ ভাই
৮.ফাহিম ভাই
৯.জাকের ভাই
১০.শহীদুল ইসলাম জসিম ভাই
১১.তৌহিদ ভাই
১২.আবদুল হক ভাই.
১৩.শহীদুল ইসলাম শহীদ ভাই

পরিশিষ্ট
                 লেখক : জাকির হোসেন
                  ০১৮১৫১৮০১৬৩

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

d ব্লক মৌলসমুহোর রসায়ন


যে সকল মৌলের d অরবিটালে ক্রমান্বয়ে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করতে থাকে, তাদেরকে d–ব্লক মৌল বলে।
অবস্থান্তর মৌলের d–অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে।

অবস্থান্তর মৌলসমূহের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য থাকে-
পরিবর্তনশীল জারণ অবস্থা
প্রভাবকরূপে ক্রিয়া
জটিল আয়ণ গঠন
বর্ণযুক্ত আয়ন সৃষ্টি
প্যারা চুম্বকীয় ধর্ম

d-ব্লক মৌলের শ্রেণীবিভাগ :

3d-ব্লক মৌল বা ১ম অবস্থান্তর সিরিজ :
Sc(21) থেকে Zn(30)

4d-ব্লক মৌল বা ২য় অবস্থান্তর সিরিজ :
Y(39) থেকে Cd(48)

5d-ব্লক মৌল বা ৩য় অবস্থান্তর সিরিজ :
La(57) এবং Hf(72) থেকে Hg(80)

6d-ব্লক মৌল বা ৪র্থ অবস্থান্তর সিরিজ :
Ac(89) এবং Rf(104) থেকে Mt(109)

১ম সিরিজের d–ব্লক মৌলগুলোর ইলেক্ট্রন বিন্যাস :
Sc(21)⟶1s22s22p63s23p64s23d1
Ti(22) ⟶1s22s22p63s23p64s23d2
V(23) ⟶1s22s22p63s23p64s23d3
Cr(24) ⟶1s22s22p63s23p64s13d5
Mn(25) ⟶1s22s22p63s23p64s23d5
Fe(26) ⟶1s22s22p63s23p64s23d6
Co(27) ⟶1s22s22p63s23p64s23d7
Ni(28) ⟶1s22s22p63s23p64s23d8
Cu(29) ⟶1s22s22p63s23p64s13d10
Zn(30) ⟶1s22s22p63s23p64s23d10

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
মহাশূণ্য ক্যাপসুল টাইটেনিয়াম ধাতু দ্বারা তৈরি করা হয়
লিগ্যান্ড হল নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন যুগলধারী আয়ন বা যৌগ অণু
সাধারণ লিগ্যান্ড হল- :NH3, :OH2, :CL- প্রভৃতি
ফেরোক্রোম ইস্পাত শিল্পে বিভিন্ন শ্রেণীর মরিচাহীন ইস্পাত প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
ক্রোমিয়ামের সবচেয়ে সুস্থিত জারণ অবস্থা হল Cr(+3)
রং শিল্পে ও ক্রোম ট্যানিং এর কাজে ডাইক্রোমেট ব্যবহৃত হয়
ভূত্বকের প্রায় 4.15% হল লৌহের যৌগ
জিংক ধাতুকে প্রধানত ইস্পাতের গ্যালভানাইজিং করতে ব্যবহার করা হয়
ম্যাঙ্গানিজের (+2) জারণ অবস্থা অত্যন্ত স্থায়ী অবস্থা
নিকেল ম্যাটে Ni থাকে 55%
স্কেন্ডিয়ামকে অবস্থান্তর মৌল বলা যায় না
আয়রন, কোবাল্ট ও নিকেল হল ফেরোম্যাগনেটিক
ম্যাগনেটাইট এর সংকেত- Fe3O4
মরিচার সংকেত- 2Fe2O3.3H2O
ব্লিস্টার কপারে কপার থাকে
ভস্মীকৃত লৌহ আকরিক, কোক কার্বন ও চুনাপাথরকে যথাক্রমে 8:4:1 অনুপাতে মিশ্রিত করে মিশ্রণটিকে বাত্যাচুল্লীতে যোগ করা হয়
ZnO একটি উভধর্মী অক্সাইড
ZnCl2 এর জলীয় দ্রবণে অম্লীয়
জিংক ও ZnO এর মিশ্রণকে জিংক ডাস্ট বলে
স্পেল্টারে জিংক থাকে 97-98%
সোডিয়াম জিংকেট- Na2ZnO2
ZnO কে ফিলোসোফার উল বলে
এর ৫টি জারণ মান আছে। এই জারণ মানগুলো যথাক্রমে +2, +3, +4, +6, +7 নিম্নজারণ অবস্থার অক্সাইড ক্ষারধর্মী, উচ্চ জারণ অবস্থার অক্সাইড অম্লধর্মী।

আকরিকসমূহ :

টাইটানিয়াম-র আকরিক :
রুটাইল- TiO2
ইলমেনাইট- FeTiO3

ক্রোমিয়াম-র আকরিক :
ক্রোমাইট- FeO.Cr2O3
ক্রোম ওকোর- Cr2O3
ক্রোকইট- PbCrO4

ম্যাঙ্গানিজ-র আকরিক :
পাইরোলুসাইট- MnO2
ব্রিউনাইট- Mn2O3
ম্যাঙ্গানাইট- Mn2O3.H2O
হুসম্যানাইট- Mn3O4

আয়রন-র আকরিক :
ম্যাগনেটাইট- Fe3O4
রেড হিমাটাইট- Fe2O3
লিমোনাইট- 2Fe2O3.3H2O
সাইডেরাইট- FeCO3
আয়রন পাইরাইটস- FeS2

কপার-র আকরিক
কপার গ্লান্স- Cu2S
কপার পাইরাইটস- CuFeS2
কিউপ্রাইট- Cu2O
ম্যালাকাইট- CuCO3.Cu(OH)2

জিংক-র আকরিক :
জিংক ব্লেড- ZnS
কেলামিন- ZnCO3
জিংকাইট- ZnO

নিকেল-র আকরিক :
নিকেল গ্লান্স- NiAsS
নিকোলাইট- NiAs
পেন্টল্যানডাইট- (Ni.Cu.Fe)S
মিলিরাইট- NiS
স্মলটাইট- (Ni.Co.Fe)As2

ফোরোক্রোম :
Cr- 65%
Fe- 35%

ঢালাই লৌহ :
C- 2-4.5%
Si- 1-1.5%
Mn- 0.4%
P- 0.1%

কপারের ধাতু সংকর :

১. ব্রাস বা পিতল : Cu (60-80%) + Zn (40-20%)
ব্যবহার- কলস, পানির ট্যাপ, শীতল নল ও কার্টুজের খোলস তৈরিতে

২. জার্মান সিলভার : Cu (30-50%) + Zn (35-40%) + Ni (10-35%)
ব্যবহার- বাসনপত্র, অলংকার ও রেজিস্ট্যান্স বক্স তৈরিতে

৩. ব্রোঞ্জ বা কাঁসা : Cu (75-90%) + Sn(টিন) (10-25%)
ব্যবহার- থালা বাসন, ঘণ্টা বা বেল, ধাতব মূর্তি, ধোপার ইস্ত্রি তৈরিতে

৪. মোনেল মেটাল : Cu (30%) + Ni (67%) + I ও Mn (আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজ) (3%)
ব্যবহার- রাসায়নিক ক্রিয়ারোধী, তাই ক্ষারশিল্পে ব্যবহৃত পাত্র, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ও বৈদ্যুতিক রোধক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

৫. সিলিকা ব্রোঞ্জ :
ব্যবহার- খুবই শক্ত, ক্ষয়রোধী ও উত্তম বিদ্যুৎ-পরিবাহী, তাই টেলিফোন, টেলিগ্রাফ প্রভৃতির ঝুলন্ত তার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

জিংকের ধাতু সংকর :

১. ব্রাস বা পিতল : Cu (60-80%) + Zn (40-20%)
ব্যবহার- কলস, পানির ট্যাপ, শীতল নল ও কার্টুজের খোলস তৈরিতে

২. জার্মান সিলভার : Cu (30-50%) + Zn (35-40%) + Ni (10-35%)
ব্যবহার- বাসনপত্র, অলংকার ও রেজিস্ট্যান্স বক্স তৈরিতে

৩. গান মেটাল : Cu (88%) + Zn (2%) + Sn (টিন) (10%)
ব্যবহার- সমরাস্ত্র যেমন- গান, কামান, যন্ত্রাংশ- পাইপ ফিটিং ভালব, পাম্পের পিস্টন, গিয়ার, বল-বিয়ারিং, প্রভৃতি তৈরিতে

4টি জটিল যৌগের নাম ও সংকেত :
জটিল যৌগের নাম
সংকেত
টেট্রা অ্যামিন কপার (ii) সালফেট
[Cu(NH3)4]SO4
পটাশিয়াম হেক্সা সায়ানো ফেরেট (iii)
K­3[Fe(CN)6]
পটাশিয়াম হেক্সা সায়ানো ফেরেট (ii)
K4[Fe(CN)6]
ডাই অ্যামিন সিলভার (i) ক্লোরাইড
[Ag(NH3)2]Cl

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্পাতের সংকর :
ইস্পাতের সংকর
ধর্ম
ব্যবহার
টাংস্টেন ইস্পাত (18% W, 81% Fe, 1% C)
উচ্চ গলনাংক বিশিষ্ট ও শক্ত
উচ্চ ঘূর্ণন যন্ত্রপাতি তৈরিতে
ক্রোমিয়াম ইস্পাত (2% Cr, 97% Fe, 1% C)
শক্ত, ঘর্ষণরোধী
বল বিয়ারিং পস্তুতিতে
ম্যাঙ্গানিজ ইস্পাত (13% Mn, 86% Fe, 1% C)
ঘর্ষণরোধী ও অত্যন্ত শক্ত
উপগ্রহের যন্ত্রপাতি, রেললাইন প্রস্তুতিতে
মরিচাহীন ইস্পাত (18% Cr, 8% Ni, 73% Fe, 1% C)
মরিচারোধী
কাটলারি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সিংক, খাদ্যবস্তু, ওষুধাদি ও রাসায়নিক বস্তুর শিল্পক্ষেত্রে

Fe++ ও Fe+++ এর রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পার্থক্য :

NH4OH
FeSO4+NH4OH⟶Fe(OH)2↓+(NH4)2SO4
                        সবুজ
FeCl3+NH4OH⟶Fe(OH)3↓+NH4CL
                     বাদামী
NH4CNS
কোন বিক্রিয়া ঘটে না
FeCl3+NH4CNS⟶(CNS)Cl2↓+NH4Cl
                      রক্ত লাল

অবস্থান্তর ধাতুর হাইড্রক্সাইড ও তাদের বর্ণ :
ক্যাটায়ন
অধঃক্ষিপ্ত ধাতব হাইড্রক্সাইড
অধঃক্ষেপের বর্ণ
Cr3+
Cr(OH)3
সবুজ
Mn2+
Mn(OH)2
ধূসর
Fe2+
Fe(OH)2
সবুজ
Fe3+
Fe(OH)3
বাদামী
Co2+
Co(OH)2
গোলাপী
Ni2+
Ni(OH)2
সবুজ
Cu2+
Cu(OH)2
হালকা নীল
Zn2+
Zn(OH)2
সাদা

ফেরিক ক্লোরাইড এর হলুদ দ্রবণ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে বাদামী বর্ণের ফেরিক হাইড্রক্সাইড অধঃক্ষিপ্ত হয়
FeCl3+3NaOH⟶Fe(OH)3+3NaCl

জিংক সালফেটের ক্ষারীয় দ্রবণে H2S চালনা করিলে ZnS এর সাদা অধঃক্ষেপ পড়ে
ZnSO4+NH4OH+H2S⟶ZnS+(NH4)2+SO4+2H2O

Al গুঁড়া দ্বারা ক্রোমিয়ামের অক্সাইডের বিজারণ :
Cr2O3+2Al  Al2O3+2Cr

দ্রবণে Cu++ আয়নের পরীক্ষা : Cu++ লবণের দ্রবণে পটাশিয়াম ফেরো সায়ানাইড দ্রবণ যোগ করলে লালচে বাদামী বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে।
CuSO4+K4[Fe(CN)6]⟶Cu2[Fe(CN)6]+K2SO4+H2O

দ্রবণে Cu++ সনাক্তকরণ :
CuSO4+NH4OH⟶(NH4)2SO4+Cu(OH)2CuSO4
                                     হালকা নীল

(NH4)2SO4+Cu(OH)2CuSO4+NH4OH⟶[Cu(NH3)4]SO4+H2O
                                                গাঢ় নীল দ্রবণ


বাত্যাচুল্লীতে সংঘটিত বিক্রিয়া :
বাত্যাচুল্লীর যে অংশে বিক্রিয়া সংঘটিত হয়
তাপমাত্রা
বিক্রিয়া
চুল্লীর উপরের অংশ বা স্টক কলামে
400-900°C
Fe2O3+3CO⟶2Fe+3CO2
Fe3O4+4CO⟶3Fe+4CO2
চুল্লীর মধ্যভাগ বা বসের সামান্য উপরে
900-1000°C
CaCO3⟶CaO+CO2
CaO+SiO2⟶CaSiO3
চুল্লীর নিম্নাংশে বা বসের কাছে
1300-1400°C
Ca3(PO4)2⟶3CaO+P2O5
CaO+SiO2⟶CaSiO3
P2O5+5C⟶2P+5CO
SiO2+2C⟶Si+2CO
Mn2O3+3C⟶2Mn+3CO
MnO2+2C⟶Mn+2CO

প্রয়োজনীয় তথ্য :
১. পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তি ইলেক্ট্রন স্তরে প্রবেশ করে
২. সব মৌলের সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেক্ট্রনের কাঠামো একই (4s2) ; যা এদের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে এদের রাসায়নিক ধর্ম মিল সম্পন্ন।
৩. সকলেই শক্ত ও উচ্চ ঘনত্বের ধাতু
৪. তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী ও উচ্চ মেকানিক্যাল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী
৫. মৌলগুলোর ধাতব বন্ধন বেশ দৃঢ়
৬. এদের লবণসমূহ জটিল ও রঙিন
৭. বিভিন্ন বিক্রিয়ায় প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়
৮. পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে
৯. Sc ও Zn 3d সারির মৌল হলেও অবস্থান্তর নয়

কপার নিষ্কাশন :
কপার পিরাইট থেকে কপার নিষ্কাশন করা হয়। এতে 2-3% Cu থাকে। এক্ষেত্রে ৫ ধাপে কপার নিষ্কাশিত হয়।
আকরিককে গাঢ়ীকরণ ও তাপজারণের পর যে মিশ্রণ পাওয়া যায়, তাকে ক্যালসাইন বলে। এতে 80% কপার থাকে।
তাপজারিত আকরিককে বাত্যাচুল্লীতে বিগলিত করে বেশ কিছু FeS কে FeO এবং FeSiO3 ধাতুমল তৈরি করে অপসারণ করা হয়। ধাতুমল অপসারণ করার পর এ অবশেষকে কপার ম্যাট বলে। এতে 50% Cu থাকে।
সবশেষে উৎপন্ন Cu অপরিবর্তিত Cu2S দ্বারা স্ববিজারণ পদ্ধতিতে বিজারিত হয়ে ধাতব Cu–এ পরিণত হয়।
এভাবে প্রাপ্ত Cu কে ব্লিস্টার কপার বলে। এটি 97-98% প্রায় বিশুদ্ধ।

নিষ্কাশনের জটিলতা :
১. আকরিকে অপদ্রব্যের আধিক্যের কারণে মাত্র 2-3% Cu থাকে।
২. সালফারের প্রতি আয়রন অপেক্ষা কপারের আসক্তি বেশি। ফলে খুব অল্প Cu2S জারিত হয়ে Cu2O উৎপণ্ন করে। অধিকাংশ Cu­2S অপরিবর্তিত থাকে। যেটুকু Cu2O তৈরি হয় তা FeS এর সাথে বিক্রিয়া করে Cu2O তৈরি করে। তাই Fe দূরীভূত না করে Cu2O পাওয়া যায় না।
৩. তাপ জারণের সময় Cu2O সিলিকার সাথে যুক্ত হয়ে FeSiO3–এর মত কিউপ্রাস সিলিকেট তৈরি করে। ফলে Cu অপচয় রোধ হয়। এজন্য ধাতুমল গঠন কয়েকধাপে আংশিকভাবে করতে হয়। ফলে নিষ্কাশন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়।

নিকেল নিস্কাশন :
পেন্টল্যান্ডইট [(Ni,Cu,Fe)S] হতে Ni নিষ্কাশিত হয়।
আকরিকের তাপজারণ, বিগলন ও বেসিমারীকরণের পর দূরীভূত করলে NiS, CuS ও FeS এর যে মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে নিকেল ম্যাট বলে। এতে 55% Ni, 25-30% Cu, 14-17% S এবং 0.1-0.5% Fe থাকে।
প্রাপ্ত এ নিকেল ম্যাট হতে মণ্ড বা অরফোর্ড প্রক্রিয়ায় Ni সংগ্রহ করা হয়।

প্রভাবক হিসেবে অবস্থান্তর ধাতু :
অধঃক্ষিপ্ত ধাতু
প্রভাবক
যে বিক্রিয়া প্রভাবিত হয়
বিক্রিয়ার শর্ত
Ti
TiCl3
ONC2H4⟶[H2C-CH2]n
তাপ
V/ Pt
V2O5/Pt
2SO2+O2⟶2SO3
450°C
Fe
Fe
N2+3H2⟶2NH3
550°C; 200 atm
Ni
Ni
⎤ ⎤       ⎤  ⎤
C=C+H2⟶CH-CH
⎤ ⎤       ⎤  ⎤
150°C
Pt
Pt
4NH3+5O2⟶4NO+6H2O
500°C
Cr
Cr2O3+ZnO
CO+2H2⟶CH3OH
400°C; 200atm
Mn
MnO2
2KClO3⟶2KCl+3O2
300°C
Fe
FeCl3
C6H6+Cl2⟶C6H5Cl+HCl
কক্ষ তাপমাত্রা
Mn
(CH3COO)2Mn
2CH3CHO+O2⟶2CH3COOH
কক্ষ তাপমাত্রা
Pd, cu
Pd2+, Cu2+
⎤R ⎤R
C=C+H2O  RCHO/R-CO-R
⎤  ⎤
দ্রবণে

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
সোয়েটজার বিকারক : সোয়েটজার বিকারক হল অ্যামোনিয়া যুক্ত কপার সালফেট [Cu(NH3)4­]SO4
স্পেল্টার Zn : 97-98% Zn
কণাকৃত Zn : গলিত Zn ধাতুকে ধারায় ঠাণ্ডা পানি যোগ করলে কণাকৃত জিংক পাওয়া যায়।
Zn ডাস্ট : (Zn+ZnO)
লিথোফেন : ZnS+BaSO4
ইঁদুর মারার বিষ : Zn3P2
Cold Short : লৌহের মধ্যে P থাকলে ইহা শীতল অবস্থায় ভঙ্গুর হয়। একে Cold Short বলে।
Res Short : লৌহের মধ্যে S এর পরিমাণ বেশি থাকলে ইহা গরম অবস্থায় ভঙ্গুর হয়। একে Red Short বলে।
স্পাইজেল : 79%-89% Fe, 5%-15% Mn এবং 6% C
টিংচার অব আয়রন : FeCl3 এর অ্যালকোহলীয় দ্রবণ।
S, d ও f মৌলসমূহ হল ধাতু এবং P ব্লক মৌলসমূহ প্রধানত অধাতু।
Cr(24) এবং Cu(29) মৌল দুটির ইলেক্ট্রন বিন্যাস ব্যতিক্রম।
Fe, Co, Ni হল ফেরোম্যাগনেটিক এবং Zn ডায়াম্যাগনেটিক।
S-ব্লক মৌলের তুলনায় d-ব্লক মৌলসমূহে ধাতব বন্ধন অধিক শক্তিশালী।
আয়রন সবচেয়ে বেশি ব্যবহায ধাতু।
ক্রল পদ্ধতিতে প্রাপ্ত উত্তপ্ত গলিত টাইটেনিয়ামকে শীতল করলে টাইটেনিয়াম স্পঞ্জ পাওয়া যায়।

নোট : ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রায় প্রতি বছরেই এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন থাকে । তাই এখানের প্রতিটি টপিকসই গুরুত্বপূর্ণ ।

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬

জ্ঞানী/গুনী/বিখ্যাতদের কথা (পর্ব ০১) আর্কিমিডিস

সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিলেন। মুকুটটি হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হলো এর মধ্যে খাদ মেশানো আছে। কিন্তু স্বর্ণকার খাদের কথা অস্বীকার করল। কিন্তু সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হলো না। তিনি প্রকৃত সত্য নিরূপণের ভার দিলেন রাজদরবারের বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের ওপর।

মহা ভাবনায় পড়ে গেলেন আর্কিমিডিস। সম্রাটের আদেশে মুকুটের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন। কয়েক দিন কেটে গেল। ক্রমশই অস্থির হয়ে ওঠেন আর্কিমিডিস। একদিন দুপুরবেলায় মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সমস্ত পোশাক খুলে চৌবাচ্চায় স্নান করতে নেমেছেন। পানিতে শরীর ডুবতেই আর্কিমিডিস লক্ষ করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল। মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হলো। এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন। তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোনো পোশাক নেই। সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থাতেই ছুটে গেলেন রাজদরবারে।

মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন। এক পাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন। দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল। এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবানো হলো। যে পরিমাণ পানি উপচে পড়ল তা ওজন করে দেখা গেল আগের উপচে পড়া পানি থেকে তার ওজন আলাদা। আর্কিমিডিস বললেন, মুকুটে খাদ মেশানো আছে। কারণ যদি মুকুট সম্পূর্ণ সোনার হতো তবে দুটি ক্ষেত্রেই উপচে পড়া পানির ওজন সমান হতো।

কৈশোর ও যৌবনে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ায় গিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়া ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পীঠস্থান। ছাত্র অবস্থাতেই আর্কিমিডিস তার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও সুমধুর ব্যক্তিত্বের জন্য সর্বজন পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার গুরু ছিলেন ক্যানন। ক্যানন ছিলেন জ্যামিতির জনক মহান ইউক্লিডের ছাত্র। পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি চেয়েছিলেন গণিতবিদ হবেন। অঙ্কশাস্ত্র, বিশেষ করে জ্যামিতিতে তার আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ইউক্লিড, ক্যানন যেখানে তাদের বিষয় সমাপ্ত করেছিলেন আর্কিমিডিস সেখান থেকেই তার কাজ আরম্ভ করেন।

আর্কিমিডিসের জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ২১২ সালে। সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত সাইরাকিউস দ্বীপে। পিতা ফেইদিয়াস ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ।

আর্কিমিডিস যুদ্ধকে ঘৃণা করতেন। কারো আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করাও তার প্রকৃতিবিরুদ্ধ ছিল। কিন্তু যেহেতু তিনি ছিলেন সাইরাকিউসের প্রজা, সম্রাট হিয়েরোর রাজকর্মচারী, তাই নিরুপায় হয়েই তাকে সম্রাটের আদেশ মেনে চলতে হতো।

সম্রাটের আদেশেই তিনি প্রায় ৪০টি আবিষ্কার করেন। তার মধ্যে কিছু ব্যবসায়িক জিনিস হলেও অধিকাংশই ছিল সামরিক বিভাগের প্রয়োজনে।

আর্কিমিডিসের একক আবিষ্কার পুলি ও লিভার। একবার কোনো একটি জাহাজ চরায় এমনভাবে আটকে গিয়েছিল যে তাকে আর কোনোভাবেই পানিতে ভাসানো সম্ভব হচ্ছিল না। আর্কিমিডিস ভালোভাবে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করলেন। তার মনে হলো একমাত্র যদি এই জাহাজটিকে উঁচু করে তোলা যায় তবেই জাহাজটিকে পানিতে ভাসানো সম্ভব। আর্কিমিডিসের কথা শুনে সকলে হেসেই উড়িয়ে দিল।

অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্ভাবন করলেন লিভার আর পুলি। জাহাজ ঘাটে একটা উঁচু জায়গায় লিভার খাটানোর ব্যবস্থা করলেন। তার মধ্যে বিরাট একটা দড়ি বেঁধে দিলেন। দড়ির একটা প্রান্ত জাহাজের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা হলো।

এই অদ্ভুত ব্যাপার দেখতে সম্রাট হিয়েরো নিজেই এলেন জাহাজ ঘাটায়। নগর ভেঙে যেখানে যত মানুষ ছিল সকলে জড়ো হয়েছে। আর্কিমিডিস সম্রাটকে অনুরোধ করলেন লিভার লাগানো দড়ির আরেকটা প্রান্ত ধরে টানতে। আর্কিমিডিসের কথায় সম্রাট তার সমস্ত শক্তি দিয়ে দড়িটা ধরে টান দিলেন। সাথে সাথে অবাক কাণ্ড। নড়ে উঠল জাহাজটি। চারদিকে চিৎকার উঠল। এবার সম্রাটের সাথে দড়িতে হাত লাগালেন আরো অনেকে। সকলে মিলে টান দিতেই সত্যি সত্যি জাহাজ শূন্যে উঠতে আরম্ভ করল। সম্রাট আনন্দে বুকে জড়িয়ে ধরলেন আর্কিমিডিসকে।

এই আবিষ্কারের ফলে বড় বড় পাথর, ভারী জিনিস, কুয়া থেকে জল তোলার কাজ সহজ হলো। একবার আর্কিমিডিস গর্ব করে বলেছিলেন, আমি যদি পৃথিবীর বাইরে দাঁড়ানোর একটু জায়গা পেতাম তবে আমি আমার এই লিভার পুলির সাহায্যে পৃথিবীটাকে নাড়িয়ে দিতাম।

রোমান সেনাপতি সাইরাকিউস দখল করে নেন। মার্কিউলাস আদেশ দিয়েছিলেন আর্কিমিডিসকে যেন হত্যা না করা হয়। তাকে সস্মানে তার কাছে নিয়ে আসা হয় কারণ তিনি সচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন সেই মহান বিজ্ঞানীকে যিনি একাই তার বিশাল বাহিনীকে প্রতিহত করেছিলেন।

কিন্তু সৈনিকদের কেউই আর্কিমিডিসকে চিনত না। তারা সমস্ত নগরময় অনুসন্ধান করতে আরম্ভ করল। আত্মভোলা আর্কিমিডিস তখন আপন মনে গবেষণার কাজ করে চলেছেন। শত্রুপক্ষের যুদ্ধ জয়ের কোনো সংবাদই তিনি রাখেন না। খোঁজ করতে করতে একজন সৈন্য দেখতে পেল এক বৃদ্ধ সারা মুখে সাদা দাড়ি। নিজের কুটিরের সামনে বসে আপনমনে চক খড়ি দিয়ে মেঝের ওপর বৃত্ত আঁকছে।

সৈনিকটি বলে উঠল, তুমি আমার সঙ্গে চল, আমাদের সেনাপতি তোমার খোঁজ করছেন। বৃদ্ধ আর্কিমিডিস বলে উঠলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যেতে পারব না।

এ ধরনের কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না রোমান সৈন্যটি। তাকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তাকে তা পালন করতেই হবে। আর্কিমিডিসের হাত ধরতেই এক টানে ছাড়িয়ে নিলেন আর্কিমিডিস।

আমার কাজ শেষ না হলে কোথাও যেতে পারব না।

আর সহ্য করতে পারল না সৈনিক। পরাজিত দেশের এক নাগরিকের এতদূর স্পর্ধা, তার হুকুম অগ্রাহ্য করে! একটানে কোমরের তলোয়ার বের করে ছিন্ন করল মহা বিজ্ঞানীর দেহ। রক্তের ধারায় শেষ হয়ে গেল তার অসমাপ্ত কাজ।

আর্কিমিডিসকে হত্যা করা হয়েছিল সম্ভবত ২৮৭ সালে। বিজ্ঞানীর ছিন্ন মুন্ডু দেখে গভীরভাবে দুঃখিত হয়েছিলেন মার্কিউলাস। তিনি মর্যাদার সাথে আর্কিমিডিসের দেহ সমাহিত করেন।

মহাবিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের আবিষ্কার সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না। সামরিক প্রয়োজনে যন্ত্রপাতি আবষ্কার করলেও ওই বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ ছিল না। মূলত গাণিতিক বিষয়েই ছিল তার আগ্রহ। দিনের অধিকাংশ সময়ে তিনি গবেষণায় নিমগ্ন থাকতেন। বাইরের জগতের সব কথাই তিনি তখন ভুলে যেতেন। এমন বহু সময় গেছে তার কাজের লোক তাকে খাবার দিয়ে গেছে অথচ সারাদিনে তিনি সেই খাবার সপর্শই করেননি। ভুলেই গিয়েছিলেন খাবারের কথা। খোঁজ করে দেখা গেল তিনি স্নানাগারের দেয়ালেই অঙ্ক কষে চলেছেন। বলবিদ্যা, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তার রচনার সংখ্যা বারোটি। এছাড়া তিনি আর যে সমস্ত রচনা করেছিলেন তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না।

গণিতসংক্রান্ত ব্যাপারে আর্কিমিডিসের উল্লেখযোগ্য আবিষকার হলো-
১. বৃত্তের পরিধি এবং ব্যাসের অনুপাত ৩১০/৭১ ও ৩১/৭-এর মধ্যে অবস্থিত।
২. অধিবৃত্তীয় অংশগুলোর ক্ষেত্রফল নির্ধারণ করেছিলেন।
৩. শঙ্ককৃতি এবং গোলাকৃতি বস্তু সম্বন্ধে ৩২টি প্রতিজ্ঞা উদ্ভাবন করেছিলেন।
৪. বলবিদ্যার তত্ত্বের ভিত হিসেবে সমতল ক্ষেত্রের সাম্যতা সম্বন্ধে তত্ত্ব নির্ধারণ করেন।
তার বহু আবিষকৃত সত্য আজও বিজ্ঞানীদের পথ নির্দেশ করে।

থার্ড ডিগ্রি বার্ন বা মারাত্মক পর্যায়ের পুড়ে যাওয়া
ত্বকের তিনটি স্তর যেমন-বহিঃত্বক (Epidermis), মধ্যত্বক (Dermis), অন্তঃত্বক (Hypodermis) গভীরভাবে পুড়ে গেলে একে মারাত্মক ধরনের পুড়ে যাওয়া হিসেবে ধরা হয়। পুড়ে যাওয়া ত্বক সাধারণত সাদা, বাদামি বা লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ত্বকের সবগুলো স্তর গভীরভাবে পুড়ে গেলে এতে ব্যথা তৈরি হয় না। কারণ গভীরভাবে পুড়ে যাওয়া ত্বকে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বকের বিভিন্ন স্তরে থাকা নার্ভ বা স্নায়ুগুলোও পুড়ে যায়।

শরীরে যদি আগুন ধরে যায় তবে কী করা উচিত

শরীরে এবং কাপড়ে যদি আগুন ধরে যায় তবে তা সাথে সাথে নেভানোর চেষ্টা করতে হবে। যেমন-আগুন লাগা কাপড়ের আগুন নেভানোর জন্য মোটা সুতিকাপড়, কাঁথা ইত্যাদি দিয়ে চেপে ধরতে হবে, হাতের কাছে পানি থাকলে শরীরে পানি ঢালতে হবে অথবা মাটিতে গড়াগড়ি খেতে হবে, যাতে আগুন নিভে যায়।
পোড়া ত্বকের আক্রান্ত জায়গায় অন্য কিছু না দিয়ে সাধারণ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করতে হবে অথবা আস্তে আস্তে পোড়া জায়গায় পানি ঢালতে হবে, যাতে ত্বকের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসে, ব্যথা কমে যায়, পোড়া জায়গায় কোনো ঘা সৃষ্টি না করে।
আগুনে পোড়া রোগীর কাপড় শরীর থেকে খুলে নিতে হবে। পুড়ে যাওয়া রোগীকে সোজা করে সমতল জায়গায় শুইয়ে দিতে হবে। ত্বকের সাথে হালকাভাবে লেগে যাওয়া কাপড়গুলো আস্তে আস্তে খুলে নিতে হবে, শরীরে কোনো অলঙ্কার, গয়না, পায়ে জুতা থাকলে তাও খুলে নিতে হবে, যাতে শরীরে কোনো মারাত্মক ধরনের ক্ষত তৈরি হতে না পারে। যদি কাপড় পুড়ে ত্বকে লেগে থাকে তবে পোড়া কাপড়গুলো খুব দ্রুত আস্তে আস্তে শরীর থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
ত্বকের উপরিভাগের পোড়া অংশ পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে পোড়া জায়গা ঠাণ্ডা করার পর আক্রান্ত পোড়া জায়গা ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। পুড়ে যাওয়া রোগীর শরীর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
পুড়ে যাওয়া রোগীকে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। জটিল পুড়ে যাওয়া রোগীকে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে অবহেলা করবেন না।
পোড়া রোগীর ত্বকে চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া যেকোনো ধরনের মলম বা ক্রিম লাগাবেন না। তবে জানা থাকলে বা পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে বিশেষ করে সেপ্র, ক্রিম ইত্যাদি লাগানো যেতে পারে। লোকমুখে শুনে আক্রান্ত পোড়া রোগীর শরীরে কোনো কিছু লাগানো যাবে না।
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, শরীরের অধিকাংশ জায়গা আগুনে পুড়ে গেলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমে যেতে থাকে। আগুনে পোড়া রোগী যদি ঠাণ্ডার অনুভূতি প্রকাশ করে তবে তাঁর শরীরে মোটা কাঁথা, মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।

আগুনে পোড়া রোগীর অবস্থা কতটুকু জটিল কীভাবে বুঝবেন ত্বক পুড়ে গভীর ক্ষত হলে
পুড়ে যাওয়া ত্বকের গভীরতার ওপর নির্ভর করে রোগীর অবস্থা সাধারণ, মাঝারি ধরনের কিংবা তীব্র জটিল ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা যায়। রোগীর প্রাথমিক অবস্থা নির্ধারণ করা হয় ত্বক কত গভীরভাবে পুড়েছে তার ওপর।

ত্বকের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ক্ষত হলে
ত্বকের কতভাগ জায়গায় ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছে তার ওপর নির্ভর করেও রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। যদি পুড়ে যাওয়া জায়গার পরিমাণ হাতের তালুর এক বিঘার বেশি হয় তবে উক্ত রোগীকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। যদিও সামান্য পুড়ে যাওয়া রোগীর অবস্থাও ভয়াবহ হতে পারে বিশেষ করে যদি আগুনে পোড়া রোগী বয়স্ক বা শিশু হয়।

ত্বকের বিশেষ অংশ পুড়ে ক্ষত হলে
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অংশে আগুনে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যেমন দুই হাত, পা, মুখমণ্ডল বিশেষভাবে চোখ, শরীরের সামনের অংশ ইত্যাদি। তবে এই জায়গাগুলো পুড়ে গেলে তা খুব সহজে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে খুব সামান্য পুড়ে যাওয়া স্থানও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে।

যে উৎসের কারণে ত্বক পুড়ে যেতে পারে
বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে, রাসায়নিক উপাদান থেকে, সিগারেটের পোড়া উচ্ছিষ্টাংশ থেকে, গ্যাসের চুলা থেকে, প্লাস্টিকের বস্তুতে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীর যদি আগুনে পুড়ে যায় তবে পুড়ে যাওয়া ত্বকে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয়ে তীব্র ধরনের জটিল প্রদাহে পরিণত হতে পারে।

ছোট ধরনের অগ্নিকাণ্ডেও সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক, ছোট শিশু, বৃদ্ধ মহিলা বা পুরুষদের শ্বাসনালি পুড়ে কিংবা শরীরের যে কোনো অংশ পুড়ে জটিল অবস্থা হতে পারে।

আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসায় অধিক যত্নবান হওয়া উচিত
আগুনে পোড়া রোগীর জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী করা উচিত? আগুনে পোড়া ক্ষতস্থানে বরফ দেয়া কি উচিত? উত্তর হবে না। আগুনে পুড়ে যাওয়া ত্বকে খুব ঠাণ্ডা পানি দিলে কিংবা বরফ দিলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। এছাড়া আগুনে পোড়া ত্বকে বরফ দিলে ত্বকের ক্ষতি আরো বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বকে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। পুড়ে যাওয়া ত্বকে শুধু স্বাভাবিক তামপাত্রার পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

আগুনে পোড়া ত্বকের ফোস্কা বা ব্লিস্টার কি ফাটিয়ে দেয়া উচিত?
উত্তর হবে না। আগুনে পোড়া ত্বকে কিছু কিছু ছোট ফোস্কা তৈরি হবে, যেগুলো ফাটিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ এই ফোস্কাগুলো ফাটিয়ে দিলে খুব সহজে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়ে পোড়া জায়গায় প্রদাহ হতে পারে। খুব বড় ধরনের ফোস্কা তৈরি হলে কিংবা ফোস্কার ভেতরে জমে থাকা পানি ফ্যাকাশে হয়ে গেলে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আগুনে পোড়া রোগীর ত্বকে কি ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর হচ্ছে না। আগুনে পোড়া ত্বকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ যেমন-ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। প্রাথমিক পুড়ে যাওয়া ত্বকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে খুব সামান্য পরিমাণে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা উচিত।

আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীকে কখন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত
আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নেয়া উচিত। পুড়ে যাওয়ার ধরন যাই হোক না কেন পুড়ে যাওয়া রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। কারণ ত্বকের পুড়ে যাওয়ার ধরন ভিন্ন হলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে পুড়ে যাওয়া রোগীর অবস্থা যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে। সুতরাং পুড়ে যাওয়া রোগীকে সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পূর্বেই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।