বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭

একনজরে দেখে নিন এবারের ঈদ নাটকে কিভাবে সুক্ষভাবে ইসলামবিরোধী  মেসেজ দেয়া হ​য়েছে

এবার ঈদে ইসলামবিদ্বেষীদের মূল পূজি ছিলো ঈদের নাটকগুলো। অধিকাংশ নাটকের টার্গেট ছিলো সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই। নাটকের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী (সিআইএ) বিভিন্ন ইস্যুগুলো কৌশলে দর্শকের মগজে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

(১)আরটিভিতে প্রচারিত আশফাক নিপুন পরিচালিত ‘রেইনবো’ প্রোমোট করা হয়েছে সমকামীতাকে। উল্লেখ্য সমকামীতাকে বিস্তার করা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একটি অন্যতম প্রজেক্ট (http://bit.ly/2uCXl38)।

(২)চ্যানেল নাইনে ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হয় ‘একটি সন্দেহের গল্প’। নাটকটি পরিচালনা ও রচনা করেছেন কাজল আরেফিন অমি। নাটকটিতে দেখানো হয়- স্ত্রীর দিকে যখন অন্য পুরুষরা তাকায় তখন স্বামী সন্দেহ করে। এক পর্যাযে স্বামী স্ত্রীকে বোরকা পরিয়ে দেয়। শেষে এসে বের হয় স্ত্রী’র কোন দোষ নেই, সব দোষ স্বামীর মনমানসিকতায়। স্বামীর একটি মানসিক রোগ হয়েছে, রোগের নাম অবসেশন বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি)। নাস্তিক ইসলামবিদ্বেষীদের অনেক আগের থেকে একটা দাবি হচ্ছে- মুসলমানরা নাকি অবসেশন নামক মানসিক রোগ থেকে নারীদের বোরকা পরায়। এ সম্পর্কে তারা বহু লেখালেখি করেছে, দেখতে পারেন- http://ab.co/2cOMSJ9
(৩) ঈদ উপলক্ষে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা ‘অ্যাডমিশন টেস্ট’নামক ৭ পর্বের ধারাবিক নাটক। নাটকের পরিচালক তপু খান। নাটকটির কাহিনী দৌলদিয়ার পতিতালয়পল্লীকে ঘিরে। নাটকের শেষ পর্বে মূল নারী চরিত্র বলে উঠে- “আমরা পতিতারা সমাজকে পবিত্র রাখি”। উল্লেখ্য- ‘পতিতারা সমাজকে পবিত্র রাখে’-তা্ই সমাজে পতিতালয়ের দরকার আছে এবং পতিতাদের মর্যাদা দেয়া দরকার, এই ইস্যুগুলো নিয়ে নাস্তিকরা (সিআইএপন্থী) দীর্ঘদিন করে কাজ করে আসছে।
যেমন- ‘যৌনকর্মীরাসমাজকে পবিত্র রাখে’- এই বিষয়টি নিয়ে সভাসেমিনার করে বহুদিন ধরে একটি দল প্রচার করে আসছিলো- http://risingbd.com/health-news/42997

(৪)একুশে টিভিতে ঈদের চতুর্থ দিন দেখানো হয় ‘ছেলেটি কিন্তু ভালো ছিল’ নামক নাটক । এর পরিচালক আশফাক নিপুন। কাহিনী- গল্পের নায়িকা বিয়ে করতে চায় না ফুটবল খেলতে চায়। এ নাটকটির মাধ্যমে আসলে ‘নারীবাদ’ প্রমোট করা হয়েছে, যা সিআইএ’র একটা প্রজেক্ট। এই একই বিষয়ে গত মার্চ মাসে সিআইএপন্থী বিডিনিউজ২৪ এ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিলো, প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো- ‘বিয়ে চাই না, ফুটবল খেলব’ (http://hello.bdnews24.com/news/article12549.bdnews)

যারা সাইকোলজি’র মাইন্ড প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা সহজেই বুঝতে পারবেন- প্রত্যেকটা নাটকের মূল মেসেজটা ছিলো শেষ অংশে। অর্থাৎ পুরো নাটকের চটকদার ঘটনা দিয়ে ব্রেনের কনসাস-মাইন্ডকে (চেতন মন) ব্যস্ত রেখে শেষ অংশে সাব কনসাস মাইন্ডে (অবচেতন মন) মূল মেসেজ থ্রো করা, এই মেসেজটিকে সাইকোলোজির ভাষায় সাবলিমিনাল মেসেজ বলে, যার মূল উদ্দেশ্য দর্শকের মনে ইসলামবিদ্বেষী তত্ত্বগুলো প্রবেশ করানো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন