মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ (bd news থেকে Rtv) সমকামীতা বিকৃত মানষীকতারই বহিঃপ্রকাশ বৈ আর কিছুই নয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ (bd news থেকে Rtv) সমকামীতা বিকৃত মানষীকতারই বহিঃপ্রকাশ বৈ আর কিছুই নয়।
_________________________________________
এ বিষয়ে অনেক সচেতনকেও কলম ধরতে দেখছিনা। কেও লজ্জ্বায় কেওবা না বুজে কেও বা ভয়ে লিখছেন না বা কমেন্টও দিচ্ছেন না। কিন্তু আমি বলে রাখছি আজ বা কাল  ধীরে ধীরে এদেশে এই অখাদ্য গেলানোর জন্য এসব শিল্পি ও প্রতিষ্ঠানগগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। US ambassy র সর্বশেষ এফবি পেইজে রেইনবো কালার ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ নমুনা।

ওবামা যুগে যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী  বিয়ে "হালাল" করে রায় দিয়েছিল সে দেশের সুপ্রীম কোর্ট।
বিডি নিউজের তৎকালীন শিরোনাম- "ভালোবাসার জয় হল।" (?) বিডি নিউজ ২৪.কম এর মত জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকায় যদি এইসব কুলাঙ্গার, বেজন্মা মারজিয়া প্রভাদের নষ্টামি যুক্তি নিয়ে আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতিতে আঘাত করা হয় তাহলে বিডিনিউজ২৪ এর এরুপ কর্মরতদেরও বেজম্মা বলা-ই শ্রেয়।

ঈদে প্রচারিত রেইনবো নাটকতো অতীতের সকল নির্লজ্জ্বতাকেও হার মানিয়েছে। যা নিয়ে আমার আজ সকালের লেখাটা অনেকে হয়তো পড়ে থাকবেন।অারটিভি ও এরসাথে সংশ্লিষ্ট ও রেনবো নাটকের সাথে যুক্ত কুলাংগাররা এদেশে কি করে পার পেয়ে যাবে?

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলছেন যে,
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। (সূরা আন-নূরঃ ২১)
ইতীহাস সাক্ষী সমকামিতার কারনে পুরা একটা কওম (জাতী) লুত'র ওপর নেমে এসেছিল আল্লাহর গজব ও লানত কেন না তারা ছিল সিমালংঘনকারী আর আল্লাহ সিমালংঘনকারীদের ক্ষমা করেন না। আজ সেই সিমালংঘনকারীদের উল্লাস দেখে আমার বিশ্বাস, হয়ত আবার সেই ইতীহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে যে,
"ওয়ালা তাকরাবুয যিনা।" (অর্থঃ "তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেওনা । অবশ্যই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পন্থা") [সূরা বনী ইসরাঈল-৩২]
এখন জুকারবার্গরা যদি সমকামী হয় আর তারা এই রায় সাপোর্ট করে, তবে ফেইসবুকে নতুন টুল তারা এড করতেই পারে যাতে "হুজুগে" দের সাপোর্ট খুব সহজেই পাওয়া যায়। জেনে হোক আর না জেনে হোক অনেকেই প্রোফাইল পিক রংধনু বানাচ্ছে।
যৌনতায় উদ্দাম বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন ঘোড়াগুলো এখন খুব সহজেই পারছে "হাবা" দের দখলে আনতে। যা করতে নৈতিকতাকে কবর দেয়া বিকৃত দেহ-মন উন্মত্ত, তার মাঝে নিপুনভাবে "বিজ্ঞানের দোহাই" আবিষ্কার করে ইউরোপ বা আমেরিকা যা করে, কোন না কোনভাবে সেটার মাঝে কল্যাণ খোঁজা ব্রেইনওয়াশডদের দেখে এখন আর অবাক হওয়া যায় না।
প্রথম আলোতে চাকুরীর বিজ্ঞাপনে প্রাইভেট সেক্রেটারির নামে চাওয়া হচ্ছে এমন কাউকে যার রিকুয়ারমেন্ট দেখে চোখকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। অবিবাহিতা, ওভারস্মার্ট, বয়স ১৮-২৫, মদ খাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে ইত্যাদি। এরপরও কিছু চিংড়ি মাছ সেটাতেও কোন সমস্যা খুঁজে পাবে না জানি।

ক্রিকেটার নাসিরের শেয়ার করা ছবিতে কমেন্টগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ওয়েস্টের বিষ্টা খাওয়া বুদ্ধিপতিতারা সফল। সফল সারাদিন মা-বোনদের নিয়ে ইন্সেস্টকে প্রমোট করতে থাকা জংলিরা। বাংলাদেশিদেরও মানসিকতা কতটা বিকৃত হতে পারে এখন প্রমাণিত সত্য।
আমার হাসি পেয়েছে অন্য একটা কারণে। কোন এক ইউটিউব সেলেব্রিটি, যিনি একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, বিষয়টা নিয়ে খুব আফসোস করলেন আজ বাঙালির মানসিকতা নিয়ে। খুব রাগত স্বরে দাঁত কিরমিরও করলেন। আমার আসলে উনার প্রতি অতি করুনা জন্মেছে সে সময়। বছর কয়েক আগে এই ভদ্রলোক এনএসইউতে এক কমেডি শোতে কোন এক পর্ণতারকার কত জিবি তার হার্ডড্রাইভে আছে সে তথ্য দিয়ে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের "ধন্য" করেছিলেন। It was much easy! সরি, ভাই, আপনাদের মুখে সাধু কথা মানায় না। থামেন একটু।
কিছুদিন আগে "প্রকাশ্যে চুমু দেয়ার অধিকার" চেয়ে স্ট্যাটাস প্রসবকারী জনৈক পুলিশ অফিসারকে দেখলাম বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে। তিনি এলাকার সব ডিম ব্যবহার করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
আফসোসের ব্যাপার হলো যৌনতায় উদ্দাম "তাহারা"ই যুবসমাজের একটা বড় অংশের কাছে আইডল কিছু লালাময় স্ট্যাটাস কিংবা ভিডিও কিংবা "বস্তুগত সাফল্যের আবেগময়ী" স্ট্যাটাসে ব্রেইনওয়াশে পারদর্শীতার কারণে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন