শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

অগ্রযাত্রার সংবিধান (zaker rubel)

              বিছিমিল্লাহীর রাহমানীর রাহীম

♦নাম : এই সংস্থার নাম হবে " অগ্রযাত্রা"

♦পরিচিতি :অগ্রাযাত্রা,  মেহরুন্নেছার মাঝে একটি সমাজ কল্যাণ ও সেবামুলক অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
মননশীল,  সৃজনশীল ওও সমাজ সেবক মানুষের আশা আকাংখার প্রতীক।
মেহেরুন্নেছা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার পূর্বে ছোট ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত, এক মমতাময়ী মায়েের নাম। এই নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর মেহেরুন্নেছা নামের গোড়ড়াপত্তন।  এটি মধ্যম উন্নত এলাকা।  শিক্ষার হার প্রায় ৮০ %। অনেক জ্ঞানী গুনী লোক মেহেরুন্নেছার সুনাম ছড়িয়েছে দেশে ও বিদেশে।
মেহেরুন্নেছা প্রায় ৭০% প্রবাসী। তারা পৃথিবী বহু দেশে কাজ করে মেহেরুন্নেছা ও দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে। আছে ১০% পেশাজীবী। তারাও এলাকার উন্নয়ন ও দেশ গড়ায় ভুমিকা রাখছে।
১০% আছে শ্রমিক। তারা তাদের কর্ম দিয়ে কোন মতে পরিবার নিয়ে খেয়ে পড়ে ভালোই আছে।
আর ১০ % আছে হতদরিদ্র।  তারা কোন মতে দিন অতিবাহিত করছে।  মানুষের সাহায্য সহায়তায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।  অনেকে তাদের সাহায্য সহায়তা করতেছে ব্যক্তিগতভাবে। এই সাহায্য  তাদের তেমন কাজে আসছে না।  তারা দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাছে না।যার কারননে তাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে না পেরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  একশ্রেনীর সার্থান্বেষী  মহল তাদের অবৈধ ব্যবসা ও ক্ষমতার কাজে এই গবির মানুষ গুলো কে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।  যার ফলে আজ মেহেরুন্নেছায় মারামারি, হানা-হানি লেগেই আছে।  সমাজে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, যেনা ভ্যাবিচার বেড়েই চলছে। এর মূল সমস্যা সুশিক্ষার অভাব,  দারিদ্রতা,  ও ন্যায়বিচার না থাকা।
আর একা কারো পক্ষে এই দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব না,দরকার সম্মমিলিত সাহায্য সহয়তা। এই অসহায় মানুষদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর জন্যই অগ্রযাত্রা নামক এই সংগগঠনের যাত্রা।

♦ধরন : অলাভজনক,অরাজনৈতিক,সমাজ কল্যান মূলক সংস্থা।

♦কর্ম পরিধি : সেবার কোন পরিধি থাকেনা তবুও  প্রাথমিকভাবে মেহেরুন্নেছা এলাকাই হবে এর পরিধি। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়ানো হবে।

♦কার্যালয় :  আপাতত whatsap ই এই সংস্থার কার্যালয় থাকবে।

♦লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
================
"তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, মানবতার কল্যানের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে "- আল কুরআন। প্রবিত্র কুরআনের এই ঘোষনার আলোকেই দুস্ত ও আসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করাই এই সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

♦কর্মসূচী :
=========

১.সমাজ কল্যান
২.ছাত্রকল্যান
৩.সাংস্কৃতি বিষয়ক
৪.ক্রীড়া বিষয়ক
৫.যাকত বিভাগ
৬.
**বিস্তারিত আরো আসতে পারে সবার পরামর্শে।

♦ দরিদ্রদের সহযোগীতার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দলীয় মনেভব পোষন করা হবে। তবে দ্বীনি ভাইদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

♦সদস্য হওয়ার নিয়ম:
================
সংস্থার কার্যকরি পরিষদের অনুমুতিক্রমে যে কেও সমাজকল্যানের মানসিকতা থাকলে এ সংস্থার সদস্য হতে পারবেন। আপাতত মেহেরুন্নেছার বাসিন্দা হতে হবে।

সদস্য বৃদ্ধির জন্য সকল সদস্য সদা সক্রিয় থাকবে।

♦পরিচালনা পদ্ধতি :
===============
১||.একজন সভাপতি, একজন সেক্রেটারী, ১০ সদস্যের একটি কার্যকরী পরিষদ এবং একটি উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে এ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে।

২|| সদস্যেদের ভোটে প্রতি এক বছরের জন্য সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হবেন।।

৩|| সভাপতি ও সেক্রেটারি কার্যকরি পরিষদ মনোনীত করবেন।

৪|| এ সংস্থার কিছু বিভাগীয় সেক্রেটারি থাকবে যেমন
            ১.ছাত্র কল্যান বিভাগীয়
             ২. সমাজ কল্যান বিভাগীয়
             ৩. কোষাধ্যক্ষ
            ৪.ক্রিড়া সম্পাদক
            ৫. সাংস্কৃতি সম্পাদক
এসব বিভাগের একজন করে সহকরী ও থাকতে পারে।

♦আয়ের উৎস :::
==============

১.সদস্যদের দান
২.যাকাত
৩.ভিবিন্ন উদ্যোগ উপলক্ষে বিশেষ কালেকশন।

♣ এই সংস্থার নিজস্ব একটি কল্যান ফান্ড থাকবে। যার হিসাব সভাপতি, সেক্রেটারী ও কোষাধ্যক্ষ সাহেব প্রতিমাসের শেষে হিসেব করে সংক্ষিপ্ত আয় ব্যায়ের হিসাব কার্যকরি পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করবেন।
♣কোষাধ্যক্ষ সংস্থার সকল আর্থিক হিসাব নিকাশ সুচারুভাবে দেখাশুনা ও নির্দিষ্ট বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
♣ সকল প্রকার আয় কোষাধ্যক্ষের হিসাবে প্রথমে যোগ হবে।

♦ ব্যায়ের খাত :
===========

সংস্থার সংবিধান নির্ধারিত খাত ও কার্যকরি পরিষদ কর্তৃক অুমোধিত খাতেই কেবল সংস্থার অর্থ ব্যয় হবে।
ব্যায়ের ক্ষেত্রে কার্যকরি পরিষদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গন্য হবে।
১. দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যায়বার বহন
২.আর্থি অসচ্ছল ও দুস্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সাবলম্বি করার চেষ্টা
৩. কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারকে অার্থিক সহযোগীতা
৪.প্রতিবন্ধীদের সহায়তা
৫.অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন মৌসুমে সহায়তা প্রদান ( শীতবস্ত্র, ইফতার, ঈদ উপহার, ইত্যাদি)
৬.বিধবা ও এতিমদের সাধ্যমত সহযোগীতা করার চেষ্টা করা হবে

♣♣ তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগীতার পরিবর্তে বড় ধরনের সহযোগীতা করে দারিদ্র দূরীকরনই প্রধান লক্ষ্য থাকবে)

♥♥♥♥শৃঙ্খলা ♠♠♠
===================
১ : যেহেতু এটি একটি সমাজ কল্যানমূলক অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাই যে কেউ এর সদস্য হতে পারবে কিংবা এর সদস্য পদ হতে অব্যাহতি চাইতে বা নিতে পারবেন।

২. কার্যকরি পরিষদ বা উপদেষ্টা পরিষদ বা ব্যক্তিগতভাবে এই দুই পরিষদের কেও এই সংস্থার আর্থিক কোন কেলেংকারির সাথে জড়িত থাকা প্রমানীত হলে তিনি এই সংস্থার দায়িত্বসহ সদস্য পদও হারবেন।

♦♦♦♦♦♦♦বিশেষ দ্রষ্টব্য ♦♦♦♦♦
এটি একটি সুপরিবর্তনীয় সংবিধান। সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এর যেকোন ধারা বা উপধারা বা যে কোন অংশ পরিবর্তন ও সংশোধন করা যাবে।

♦প্রথম কার্যকরি পরিষদ ২০১৬ _২০১৭

সভাপতি : নুর আলম মামুন
সহ সভাপতি :গোলাম মাওলা
সেক্রেটারি :আবুল কাসেম হেলাল
সহসেক্রেটারী :আমির হোসেন সাইফুল
কোষাধ্যক্ষ :আবদুর রহমান রানা
সহ :আব্দুল করিম
ছাত্রকল্যাণ বিভাগীয় প্রধান : আতিকুর রহমান.
সহ:নেজাম উদ্দিন
সহ : ভাবলু
সহ : সজিব
সমাজকল্যাণ:
সাইফুল ইসলাম ( মৌলভী বাড়ি)
সহ : মাসুদ রানা
সহ : বোরহান.
আই এচ রিয়াদ
সংস্কৃতিক সম্পাদক : মহি উদ্দিন. সহ.আবদুল মান্নান সেলিম.
সহ.আবু নাছের.
ক্রীড়া বিভাগ:
মাহফুজ আলম স্বপন
আল আমিন
সাবিদ খান জামাল

♦প্রথম উপদেষ্টা পরিষদ ২০১৬-২০১৭

১.কাজী হানিফ আনসারী ভাই.
২.মাহবুবুর রহমান জিয়া. ভাই
৩.নাজমুল ভাই ( ডাঃ মোয়াজ্জেম এর বাগীনা.)
৪.আবদুল মজিদ ভাই
৫.শামসুদ্দিন ভাই
৬.মিজানুর রহমান ভাই
৭.মাওলানা ইউসুফ ভাই
৮.ফাহিম ভাই
৯.জাকের ভাই
১০.শহীদুল ইসলাম জসিম ভাই
১১.তৌহিদ ভাই
১২.আবদুল হক ভাই.
১৩.শহীদুল ইসলাম শহীদ ভাই

পরিশিষ্ট
                 লেখক : জাকির হোসেন
                  ০১৮১৫১৮০১৬৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন