শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

কাজী নজরুল ইসলাম


, * ইসলাম ও জাগ্রুর  নজরুল * ১ম পর্ব।

বেজেছে নাকাড়া হাঁকে নকীবের তুর্য
হুশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সূর্য ।
জগতের শাশ্বত নিয়মানুসারে মহাকালের স্রোতে ভেসে যায় সব কিছু ।একদিন মানুষও যায় হারিয়ে ।কিন্ত কালের সেই মহাখাদক স্রোত এক জায়গায় এসে বার বার ব্যর্থ হয়েছে ।ফিরে গেছে অবনত মস্তকে ।সেই হল কবি সাহিত্যিকদের অমর সৃষ্টি ।বাংলা সাহিত্যের সেই মহান কলম সৈনিককে নিয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস ।যাকে নিয়ে লেখা যায় শত শত প্রবন্ধ,কবিতা তথাপিও তার অবদান অমর।কে সেই মহা মানব?ভূমিকম্পের মত গোটা সাহিত্য জগতকে কাপিয়ে যিনি ধুমকেতুর মত আবির্ভূত হয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের গগনে।আলোকিত করেছিলেন গোটা সাহিত্য জগতকে।ঝর তুলেছিলেন লাখো মানুষের মনে এই ধরনের শত শত গদ্যে পদ্যে-
বন্দী থাকার হীন অপমান! হাঁকবে যে বীর তরুণ
শির দাঁড়া যার রক্ত তাজা,রক্ত যার অরুণ,
সত্য-মুক্তি স্বাধীন জীবন লক্ষ শুধু যাদের
খোদার রাহায় জান দিতে আজ ডাক পড়েছে তাদের।”
যিনি ছিলেন মহাযুদ্ধের প্রাঙ্গন হতে ফিরে আসা এক কর্ম ক্লান্ত কলম সৈনিক।বাংলা সাহিত্যের পাতাকে রাঙিয়েছেন মনের সকল রঙ ঢেলে।বাংলার ঘুমন্ত মানুষকে জাগ্রত করতে এসেছিলেন এক হাতে রণতর্য আর এক হাতে বাকা বাঁশের বাঁশীঁ নিয়ে ক্ষণকালের জন্য,

সাম্যের গান গাইতে,আর ।ন্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে,তিনিই হচ্ছেন বাংলা সাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বিদ্রোহের পথের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, বাংলার নাগ শিশু কাজী নজরুল ইসলাম।যিনি ছিলেন কবিতার এক অনন্য কারিগর।
যার কবিতায় উরত ধোঁয়া
স্বপ্ন থাকত আকাশ ছোয়া।”
তিনিই আমাদের জাতীয় কবি,সংগ্রমের অগ্রণী নকীব।আমাদের সাহিত্যে যার অবদান মহীরুহের ন্যায়।যদি একটু লক্ষ করি আমাদের শিশুকালের পড়া কবিতা-
আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম বাগে
উঠব আমি ডাকি।
ভোর হল দোর খোল
খুকুমনি উঠরে।”
এই চরণ গুলি যে কারো সামনে ধরে প্রশ্ন করলে যে,লেখা কার?এক বাক্যে উত্তর পাওয়া যাবে কাজী নজরুল ইসলাম।এবারে আসা যাক দেশের সর্বচ্চ বিদ্যাপিঠ গুলোর তালিকায়।যেখানে ও নজরুল রণ আপন প্রতিভায় বিচরণকারী এভাবে-
হে দরিদ্র!তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান।
কিংবা
ফিরে এলো আবার সেই মহরম মাহিমা
ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।
বাংলা সাহিত্যের যার অবদান সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত,একবাক্যে আমরা তাকে আমাদের জাতীয় কবির মর্যাদায় সমাসীন করতে পারি।এবারে আসা যাক প্রবন্ধের মূল বিষয়ের দিকে।নজরুল শুধু সাম্যের কবি ছিলেন না।তিনি ছিলেন ইসলাম ধর্মের উচ্চকিত প্রসংশা ও স্ত্ততি গানের এক মহান শিল্পী।যার লেখনীতে শুধু সাম্য,মৈত্রী,স্বাধীনতা,বিদ্রহ আর শিকল ভাঙ্গার কথা ফুটে উঠেনি।ইসলাক ধর্ম ও দর্মনের কথা ফুঠে উঠেছে,কোহিনুর সুঠাম দৃষ্টান্ত।যার পরিচয় আমরা পাই ইসলাম ধর্মের প্রবক্তা হজররত মুহাম্মদ (সঃ) এর শুভ জম্ন উপলক্ষ্যে লেখা কবিতায়-
আজ বেদুইন তার ছেড়ে দিয়ে ঘোড়া
ছঁরে ফেলে বল্লম
পড়ে সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
অথবা
সাবেঈন
তাবঈন
হয়ে চিল্লায়ে জোড়ে ওই ওই নাবে দীন
ভয়ে ভূমি চুমে লাত মানতের ওয়ারেশীন।
রাসূলের আগমনে তিনি শুধু আনন্দিত হননি,সেই মহান মনীষীরা মহা প্রয়াণে হয়েছেন খুব ব্যথিতও। নাহলে কেন লিখলেন?
এক বিস্ময়!আজ আজরাইলের ও জলেভরভর চোখ
বে-দর দিল কাপে থর থর যেন জ্বর জ্বর শোক।
সে সময় হজরত উমর (রাঃ) মনের অবস্থাকে তুলে ধেরেছেন এভাবে,
হাঁকে ঘন ঘন বীর
হবে জুদা তার তন শির
আজ যে বলবে নাই বেচেঁ হজরত-সে নেবে তাঁরে গোরে
আর দারাজ হস্তে তেজ তলোয়ার বোঁ বোঁ করে ঘোরে।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যাকে মনে স্থান দিয়ে বানালেন বিশ্ব কবি ,সেই কবি কিন্তু বিশ্বে সব চিএ তার কবিতায় তুলে ধরেননি।তার কবিতা থেকে বাদ পরেছে, জেলে,কামার,কুমার কুলি,মজুর।অর নজরুল সেই ফেলে দেয়া গোবরে ফুটিয়েছেন পদ্ম।অধিকার ফুটিয়ে তুলেছেন খেটে খাওয়া মানুষের।যার পরিচয় আমরা পাই-
দেখুন সেদিন রেলে
কুলি বলে এক বাবু সাব তারে
ফেলে দিল নিছে ঠেল।
আসা যাক এবার মূল বিষয় বস্তু ধর্মের কথায়।ধর্মের ব্যাপারে রবি ঠাকুর যেখানে নিরব নজরুল সেখানে স্রোতস্বীন নদীর ন্যায় অবিরাম চলমান।ধরাযাক সেই গজলটির কথা ষোলকোটি মানুষের মখে আজো যা ঘুরে ফিরে-
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে
এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন
আসমানী তাকিদ।
ধর্মের প্রতি যদি তার এই দর্বার আকর্ষন বোধ না থাকত তবে কেন লিখলেন একথা।বৃষ্টি হলে যেমন জমিনের কোন অংশ বাদ থাকেনা যেখানে বৃষ্টি না পড়েনা।তেমনি নজরুল সাহিত্য হচ্ছে বৃষ্টির ন্যায়।তার লেখনীর আঁচর থেকে বাদ পড়েনি হোক সে জালিম আর মাজলুম।ইসলাম সাম্যের ধর্ম এই প্রেরণায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে তিনি লিখেছেন-
আজি ইসলাম ডম্কা গরজে ভরি জাহান
নাই ছোট বড় সকল মানুষ এক সমান।
ইসলাম সকলকে সুষম অধিকার দিয়েছে সেই কথাই এখানে ফুটে উঠেছে।জাহেলী যুগে অবহেলিত নারী সমাজের অধিকার ওতিনি দিয়েছেন তার কাব্যে।–
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার  নর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন