রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬

স্মৃতিময় ছেলেবেলা

যখন আমি ছিলাম ছোট,অদ্ভূত কত কান্ড হতো,
ভুলে যদি খেতাম কোনো কুলের বিচি,
সারারাত ভয়ে কাটে, হঠাৎ যদি পেট ফাটে
গাছ জন্ম নিলে কেমন করে বাঁচি।

দিনের শেষে রাতের বেলা,দূর আকাশে চাঁদের খেলা,
চাঁদটা শুধু আমার সাথে চলতো।
আমি যখন যেদিক যাই,সবখানেই তাকে পাই,
মা যে তাকে চাঁদমামা বলতো।

জবা ফুলের নিয়ে কুঁড়ি,দু আঙ্গুলের মাঝে ধরি,
বন্ধুর সাথে কাটাকাটি খেলতাম।
শুকানো মায়ের শাড়ীর ফাঁকে,মিষ্টি ঘ্রাণ নিতাম নাকে,
হঠাৎ করেই শাড়ীর ফাঁকে লুকোতাম।

লাইট বাল্বের সুইচগুলোতে,ধরে রাখতাম মাঝখানেতে,
ঠিক কখন আলোটা যায় নিভে।
পাউডার দুধ মুখে নিয়ে,একসাথে সব খেতে যেয়ে
আটকে যেতো তালু আর জিবে।

বিকেলে নামলে ছায়া,আকাশটা বাড়ায় মায়া,
মাঠের পরে গেলেই বুঝি আকাশ ছোঁয়া যায়।
রাতে বাবা ফিরলে ঘরে, রাখতাম চোখ বন্ধ করে
বাবা যেন কোলে করে রাখে বিছানায়।

টায়ার গাড়ী নিয়ে পথের বাকে, ধূসর ধূলো গায়ে মেখে
দিন দুপুরেই অবিরাম ছুটতাম,
খেলা হতো তুফান জলে,সাঁতার হতো পুকুর বিলে,
বন্ধুর সাথে আড়ি হলে কাঁদতাম।

শৈশবের এমন কত স্মৃতি, কত সুখের অনুভূতি,
মনের মাঝে উঁকি দিয়ে যায়।
সেই হারানো ধূলোমাখা দিন, বুকের ভিতর আজো রঙ্গীন
শৈশব ডাকে শুধু আয়, আয়, আয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন