মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২

নবম দশম শ্রেনীর পদার্থ বিজ্ঞান (২য় অধ্যায় -গতি) সকল জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. গতি কাকে বলে? / গতি কী?
উত্তর –  পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে সময়ের সাথে কোনো বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের ঘটনাই গতি। 

২. স্থিতি কাকে বলে? / স্থিতি কী? 
উঃ সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে যখন কোনো বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন না হয় তখন তাকে স্থিতি বলে। 

৩. প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে? / প্রসঙ্গ বিন্দু কাকে বলে? 
অথবা, প্রসঙ্গ কাঠামো কী? / প্রসঙ্গ বিন্দু কী? 

উত্তর –  যে বস্তু বা বিন্দুর সাপেক্ষে কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন বিবেচনা করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বা বিন্দু বলে। 

৪. সরলরৈখিক গতি কী?
উঃ কোনো কিছু যদি সরলরেখায় যায় তার গতিই সরলরৈখিক গতি। 

৫. ঘূর্ণন গতি কী?
উত্তর – কোনো কিছু যদি একটা নির্দিষ্ট বিন্দুর সমদূরত্বে থেকে ঘুরতে থাকে তাহলে সেটাকে বলে ঘূর্ণন গতি। 

৬. চলন গতি কী?
উঃ কোনো কিছু যদি এমনভাবে চলতে থাকে যেন বস্তুর সকল কণা একই সময়ে একই দিকে যেতে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে চলন গতি। 

৭. পর্যায়বৃত্ত গতি কী?
উঃ কোনো গতিশীল বস্তু যদি নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে একই দিকে একইভাবে
অতিক্রম করে তাহলে সেটাকে পর্যায়বৃত্ত গতি বলে। 

৮. সরল স্পন্দন গতি কী?
উত্তর –  পর্যায়বৃত্ত গতি সম্পন্ন কোনো বস্তু যদি পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে তবে তার গতিকে সরল স্পন্দন গতি বলে। 

৯. দূরত্ব কাকে বলে? / দূরত্ব কী?
উঃ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর সাপেক্ষে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনকে দূরত্ব বলে।  

১০. সরণ কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর সাপেক্ষে নির্দিষ্ট দিকে বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্বকে সরণ বলে।
১১. দ্রুতি কী?
উঃ সময়ের সাথে দূরত্ব পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে। 

১২. বেগ কী?
উঃ সময়ের সাথে সরণের পরিবর্তনের হারকে বেগ বলে। 

১৩. তাৎক্ষণিক দ্রুতি কী?
উঃ কোনো গতিশীল বস্তুর একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তের দ্রুতিকে তাৎক্ষণিক দ্রুতি বলে।   

১৪.তাৎক্ষণিক বেগ কী?
উঃ কোনো গতিশীল বস্তুর একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তের বেগকে তাৎক্ষণিক বেগ বলে। 

১৫. সুষম দ্রুতি কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে যে দ্রুতির মান বা দিকের পরিবর্তন হয় না তাকে সুষম দ্রুতি বলে। 

১৬. সুষম বেগ কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে যে বেগের মান বা দিকের পরিবর্তন হয় না তাকে সুষম বেগ বলে।  

১৭.অসম দ্রুতি কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে যে দ্রুতির মান বা দিকের পরিবর্তন হয় তাকে অসম দ্রুতি বলে। 

১৮. অসম বেগ কী?
উঃ যদি কোনো বস্তু এমনভাবে চলতে থাকে যে  সময়ের সাথে সরণের মান বা দিকের অথবা উভয়েরই পরিবর্তন হয় তাকে সুষম বেগ বলে।  

১৯. রাশি কাকে বলে?
উঃ যা কিছুর পরিমাপ করা যায় তাকে রাশি বলে। 

২০. স্কেলার রাশি কী?
উঃ যে রাশিকে শুধু একটি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায় তাকে স্কেলার রাশি বলে। 

২১. ভেক্টর রাশি কী?
উঃ যে রাশিকে পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ করতে মান ও দিক উভয়ই বলে দিতে হয় তাকে ভেক্টর রাশি বলে। 

২২. পরম স্থিতি কী?
উঃ  প্রসঙ্গ বস্তু যদি প্রকৃতপক্ষে স্থির হয় এবং তার সাপেক্ষে যে বস্তু স্থিতিশীল তাকে পরম স্থিতি বলে। 

২৩. পরম গতি কী?
উঃ প্রসঙ্গ বস্তু যদি প্রকৃতপক্ষে স্থির হয় এবং তার সাপেক্ষে যে বস্তু গতিশীল তার গতিকে পরম গতি বলে। 

২৪. জড়তা কী?
উঃ কোনো বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণকে জড়তা বলে। 

২৫. গতি জড়তা কী?
উঃ গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিশীল থাকার প্রবণতাকে গতি জড়তা বলে।


২৬. স্থিতি জড়তা কী?
উঃ স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতাকে স্থিতি জড়তা বলে। 

২৭. ত্বরণ কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। 

২৮. মন্দন কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে। 

২৯. সুষম ত্বরণ কী?
উঃ  সময়ের সাথে সাথে বেগের পরিবর্তনের হার যদি একই থাকে অর্থাৎ যে ত্বরণ এর মান বা দিক পরিবর্তন হয় না তাকে সুষম ত্বরণ বলে। 

৩০.অসম ত্বরণ কী?
উঃ সময়ের সাথে সাথে বেগের পরিবর্তনের হার যদি একই না থাকে অর্থাৎ যে ত্বরণ এর মান বা দিক পরিবর্তন হয় তাকে অসম ত্বরণ বলে।


৩১. গড়বেগ কাকে বলে?
উঃ অসম বেগে চলা কোনো বস্তুর সরণকে সময় দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, তাকে গড়বেগ  বলে। 

৩২. আবর্ত গতি কাকে বলে?
উঃ যখন কোনো বস্তু কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষ থেকে বস্তুকণাগুলোর দূরত্ব অপরিবর্তিত রেখে ঐ বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র
করে ঘোরে তখন সে বস্তুর গতিকে আবর্ত গতি বলে। 

৩৩. গতির সমিকরণ কাকে বলে?
উঃ সময়ের পরিবর্তনের সাপেক্ষে কোন বস্তুর গতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিয়য় যেসকল সমিকরণ দ্বারা উপস্থাপন করা হয় তাদেরকে গতির সমীকরণ বলা হয়। 

৩৪. পড়ন্ত বস্তুর প্রথম সূত্র কী?
উঃ স্থির অবস্থান থেকে মুক্তভাবে পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে। 

৩৫. পড়ন্ত বস্তুর দ্বিতীয় সূত্র কী?
উঃ স্থির অবস্থান থেকে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর যেকোনো সময়ের প্রাপ্ত বেগ ঐ সময়ের সমানুপাতিক । 


৩৬. পড়ন্ত বস্তুর তৃতীয় সূত্র কী?
উঃ স্থির অবস্থান থেকে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর যে কোনো সময়ের প্রাপ্ত সরণ ঐ সময়ের বর্গের সমানুপাতিক । 

৩৭. ঢাল বা স্লোপ কী?
উঃ ঢাল হচ্ছে এমন একটি রেখা যা কোন রাশির দিক এবং কৌণিক মান বর্ণনা করে ।



 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন