শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

হালাম হারামের পহেলা বৈশাখ ও কিছু কথা-জাকির রুবেল

পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা
ফতোয়া বা আইন নয় জাস্ট নিজের মতামত
------------------------------------------------------------------
পহেলা বৈশাখ পালনে ইসলামে কোনো বাধা নেই! একজন মুসলিম বাংলাদেশী হিসেবে আমি বাংলা নববর্ষ পালনের পক্ষপাতি৷বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি আনন্দ করে কাটাবএটাই সাভাবিক, এবং এতে ধর্মীয়কোনো বিধি নিষেধ আছে বলে আমি মনে করিনা৷তবে হ্যা নববর্ষ পালন করতে হবে অবশ্যই অবশ্যই।
ইসামের গন্ডির ভিতর সীমাবদ্ধ থেকে, অর্থাৎ ইসলাম সরাসরি নিষেধ করে এমন কোনো কাজ করা যাবেনা৷নববর্ষের দিন পান্তা-ইলিশ
খাওয়া যেতে পারে,তাতে ইসলামে কোনো নিষেধ
নেই, কারন পান্তা-ইলিশ এগুলা জায়েজ খাবার, জায়েজ খাবার শুধু নববর্ষের দিনকেনো, বছরের যে কোনদিন যে কোনো সময় খেতে পারবে ইসলামে তাতে কোনো বাধা নেই৷

নববর্ষের দিন নতুন পোশাক পরা,ইসলামে এতেও কোনো বাধা নেই৷ কারন ইসলামের পোশাক পরা জায়েজ,তাই নববর্ষের দিন নতুন পোশাক পরা যাবেনা এমন কোনো নিয়ম ইসলামে নেই৷তবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো কাজ বছরের অন্য কোনদিন যেমনকরা যাবেনা, তেমনি নববর্ষের দিনও করা যাবেনা৷ যেমন মঙ্গল শোভাযাত্রা,তারপর বাঙালি সাজার নামে হিন্দুদের সাজে সজ্জিত হওয়া, কিংবা অশ্লীল গান-বাজনা করা, নারী পুরুষ এক
সাথে র্যালিতে বের হওয়া..ইত্যাদি ইত্যাদি৷
অনেকে না বুজে বলে থাকেন পয়লা বৈশাখ নববর্ষ পালন করা নাজায়েজ! তারা যৌক্তি হিসেবে বলেন এটা হিন্দুদের উত্সব! আমি তাদের বলব ইতিহাসটা একটু ভালো করে জানুন,বাংলা নববর্ষের সাথে হিন্দুদের কোনো সম্পর্ক নেই৷

বাংলা বছর প্রবর্তন করেন ভারত বর্ষের মুসলিম আমলের অন্যতম প্রভাবশালী শাসক সম্রাট আকবর৷তিনি সম্রাজ্য চালানো সহজ করার জন্যই এই নতুন বছর প্রবর্তন করেন৷বাংলা সন-টাকে নতুন সন বলেও উচিত নয় কারন এইটা হলো হিজরী সনের একটা সংস্করণ বা শাখা৷ সম্রাট আকবর হিজরী সনকে সামনে রেখে সেটা থেকেই নতুন করে একটা সন ঠিক করার জন্য ফতেহউল্লাহ সিরাজিকে আদেশ দেন, এবং ফতেহউল্লাহ সিরাজি হিজরী থেকে বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে একটা নতুন সন উদ্ভাবন করেন৷এবং পরবর্তিতে ১৯৬৬ সালে আরেক মুসলিম মনীষী ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা সনকে অধুনিকায়ন করে যুগোপযোগী করেন৷ ইতিহাস থেকে স্পষ্ট যে বাংলা সনের সাথে বাংলা নববর্ষের সাথে হিন্দুদের কোনো সম্পর্ক নেই,বরং বাংলা নববর্ষ হলো একান্ত মুসলমানের তৈরী একটা নতুন সন, এবং যেইটার ধারাবাহিকতা হলো নবীজির হিজরী সন থেকে৷তাই  আমি বলব নববর্ষ
পালনে কোনো বাধা নেই,তবে সেটা পালনে কোনো কিছু যেন ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক
না সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷
সংযুক্তি:
১.আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে হলুদ নাজায়েজ /হারাম হওয়া সত্তেও ইসলামপন্থী ভাইদের সেখানে হরদম যাতায়াত করতে দেখি। এও দেখি যে তার ছবি তুলে এফবিতে আফলোড দিতে। সেটা কি? 
২.যে কোন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রাতে প্রায় দেখ ইসলামপন্থিদের ব্যানার পেস্টুন হাতে। তাই কি শোভাযাত্রা কি হারাম?  ঈদে মিলাদুন্নবি,শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি, বিজয় দিবসের র্যালি কি শোাযাত্রা নয়?
৩.নববর্ষে কাওকে শুভেচ্ছা জানানো কি হারাম হবে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন