রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

জসিম উদ্দিনের কবর কবিতার ফ্যারোডি

এইখানে মোর প্রেমিকার সমাধী আফিম গাছের তলে
এতটি বছর স্মৃতিতে রেখেছি গাঁজার টানে টানে।
শৈশব থেকে করেছিলাম প্রেম চাঁদের মতন মুখ
ছ্যাকা খেয়ে বিয়ে হলো না বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।

স্কুল কলেজে ঘুরিয়া ফিরিতে ভাবিয়া হইতাম সারা
সারা ক্যাম্পাস ভরি এত প্রেম মোর ছড়াইয়া দিলো কারা!
সোনালী সকালে দেখিতে তাহারে দু-নয়ন ভরি
সাইকেল লইয়া পড়িতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও পথ ধরি
যাইবার কালে চেয়ে চেয়ে তারে দেখিয়া লইতাম কত
এসব লইয়া বন্ধুরা মোরে তামাশা করিত শত।

মামার বাড়িতে যাইবার কালে কগিত ছুঁইয়া গাঁ
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু খুলনার নিরালা।
রূপসা ঘাটে ফেরি পার হয়ে দু'টাকা যাইত বেঁচে
ফাঁরাজিপাড়া থেকে ফুল কিনে নিয়ে যাইতাম হেঁটে
দুই টাকার ফুল ও বাদাম লইয়া হাতে ---
সন্ধ্যা বেলায় ছুটিয়া যাইতাম তার মামাবাড়ির গেটে।

হেসোনা, হেসোনা, শোন বন্ধু, সেই ফুল বাদাম পেয়ে
ডার্লিং যে আমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে!
হাত নেড়ে নেড়ে -- কহিত কাঁদিয়া, এতদিনে এলে?
মামাত ভাইয়ের জ্বালায় আমিযে হেথায়, কেঁদে মরি আখিঁ জলে।

আমারে না দেখিয়া এত ব্যথা যার জানিনা কেমনে হায়!
মামাত ভাইয়ের ঘর করিতেছে, খুলনার নিরালায়!
হাত তুলে দোয়া করো বন্ধু, হায় খোদা দয়াময়!
ঐ রাক্ষসী যেন -- চিরসূখী হয়।

তারপর, এ শূণ্য জীবনে - হেরোইনকে সঙ্গী করি;
একে একে, ছাড়িয়া গিয়াছে সকলেই - যায়নি যে সে ছাড়ি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন