শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

সম্পতিতে নারীর অধিকার ও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং

সম্পত্তিতে নারীর অধিকার ও ইমোশনাল ব্ল্যকমেইলিং
______________________________Zaker Rubel

®আধুনিক সমাজে এখনো নানা ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা। আর এসব বঞ্চনার মধ্যে পরিবারের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা অন্যতম। সমাজ ব্যবস্থার পরির্বতনে এখনো অনেক নারী তাদের অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়। গ্রামে এখনো অনেক নারী উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণত মুসলিম আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে একজন ছেলে সন্তান যে সম্পদের ভাগ পায়, কন্যা সন্তান তার অর্ধেক ভাগ পায়।

®একজন নারী সন্তান হিসেবে মা-বাবার কাছ থেকে, স্বামী মারা গেলে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, মা হিসেবে সন্তানের কাছ থেকে সম্পত্তির অংশ পায়। সব অংশ যোগ করলে এবং উল্লিখিত সব দিক বিবেচনা করলে নারীর অংশের সম্পত্তি, মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া পুরুষের অংশের সম্পত্তির চেয়ে বেশিই হয়।

®©কিন্তু শুভংকরের ফাঁকি টা অন্য যায়গায়। যাকে বলা যায় ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। নারীরা সম্পত্তি বা হক বা অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে ইমোশনালী প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যেমন : আপনি ভাই, তাই বোনের ২০ লাখ টাকার জমি ইমোশনের ট্র্যাফে তাকে আটকে রেখে ২০ হাজার টাকায় কিনে নিলেন। অথবা বোনদের মাথায় পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে এমন একটা বিষয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন যে "বাবার হক নাকি মেয়েদের সহে না "। আরো দেখেন যে ইমোশনালী তাদের মাথায় এটা ঢুকিয়ে দিয়েছি যে ভাইকে সম্পত্তি দিয়ে আসো ভাই তো আপনজনই। অার গ্রামে সম্পতি ভাগের সময় বোনদের জন্য এমন যায়গা নির্বাচন কর যেটার দাম খুব কম অথবা প্রোপার এরিয়াতে নেই, জলায় বা ডোবায় অথবা চরের কাছে। আরো একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন যে অধিকাংশ নারীই ভাইদের নিকট থেকে সম্পত্তি হক না নেওয়ার কারন হল "'হক নিয়ে অাসলে ভাইয়েরা অার দেখভাল করবে না "" এটা ১০০% সত্য। হক অানার পর ভাইদের সাথে বোনদের আর তেমন সম্পর্ক থাকে না। তার মানে এই দাঁড়ালো যে সম্পর্ক বাবার সম্পত্তি পাবার  জন্য ভাই বোনের সম্পর্কের কোন মূল্য নাই।
সম্পতি ভাগ হওয়ার অাগেই ভাই বিদেশ যাবে বা অন্য কোন দরকারে কৌশলে বোনদের স্বাক্ষর নিয়ে হরহামেশায় বাবার সম্পতি বিক্র করতেছেন কিন্তু ভাগ করার সময় বোনদের সেই সেক্রিপাইসের কথা অার মনে রাখেন না। মনে রাখেন শুধু নিজের ২:১ এর কথা তাও অাবার..................।

®©অভাবে মরতেছে তবুও বাবার বাড়ি থেকে হক অানবেন না। কারন ভাইয়েরা কি মনে করবে?  অর্থাৎ আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের মাথায় এমন ইমোশনাল বিষয়গুলো ডুকিয়ে দিয়েছি যে তারা সম্পতি চাইবেও না নিবেওনা। অর্থাৎ যত অাইনই থাকুক না কেন সিস্টেমে তাদের বঞ্চিত করবোই। যে মাওলানা নিয়মিত নারী অধিকারের পক্ষে আল্লাহ প্রদত্ত হুকুমের ওয়াজ করেন, যে নেতা প্রতিনিয়ত নারী অধিকারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তিনিও, যিনি প্রতিদিন সহনশীলতার স্ট্যটাস দেন তিনিও /তাদেরকেও দেখি হরহামেশায় নিজের বোনের অধিকার মেরে দিতে বা না দিতে বা বেশিরভাগই বঞ্চিত করতে।

এসব লিখা দেখলে অনেকে অাবার অামাদের নারীবাদী বলেও নিজেদের চুলকানী শুরু করেন। যিনিই এই স্ট্যটাসটা পরবেন অনুরোধ রইলো একবার অন্তত নিজের অাশেপাশে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবেন কতটা নির্মম সত্য এটি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন